প্রথম-নবমে ভর্তি সরকারি স্কুলে শূন্য আসনের ৫ গুণ আবেদন, বেসরকারিতে শিক্ষার্থী সংকট

দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মোট ৮ লাখ ৭৩ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছে ৫ লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী। আর বেসরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন পড়েছে প্রায় তিন লাখ। আবেদন করা শিক্ষার্থীরা কে, কোন স্কুল পাবে; তা ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপ-পরিচালক এবং ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন জানান, আগামী ২৬ নভেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বেলা ১১টায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল লটারির ফলাফল প্রকাশ করবেন।

এর আগে শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়। তবে ১৯ নভেম্বর দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ফি জমা দিতে পেরেছে।

বিজ্ঞাপন

মাউশি সূত্র জানায়, এবার স্কুলগুলোতে মোট আসন রয়েছে ১১ লাখ ২২ হাজার ৯৪টি। এরমধ্যে সরকারি স্কুলে আসন রয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। এর বিপরীতে আবেদন করেছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন। অর্থাৎ শূন্য আসনের প্রায় পাঁচগুণ বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

অন্যদিকে বেসরকারি স্কুলগুলোতে চরম শিক্ষার্থী সংকট দেখা গেছে। সারাদেশের বেসরকারি স্কুলে মোট শূন্য আসন ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি। অথচ এর বিপরীতে আবেদন করেছে মাত্র ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৭৯ শিক্ষার্থী।

গত ২৪ অক্টোবর ঢাকা মহানগরসহ দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। প্রথম দফায় ১৪ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদনের দিন ধার্য ছিল।